স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে নিরাপদ ও আধুনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি শিক্ষা-সংস্কৃতি, শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিকে সমুন্নত রেখে আরো আধুনিক নিরাপদ কর্মচঞ্চল ,সুখী ও দৃষ্টিনন্দন “স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া” গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিগত সময়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়নে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় ৩৪৭ কোটি ৯২ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৩২ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এরমধ্যে-১৬৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ,১২ টি প্রাথমিক,২১ টি মাধ্যমিক, ৯টি কলেজসহ ৪২টি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ১০তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উপবৃত্তি প্রদান, কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সোলার প্যানেল, পাঠ্যপুস্তক ও আইসিটি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যোগাযোগ খাতে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় ১০৭৫ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার ৬৭ টাকা ব্যয়ে মৌড়াইল রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন ,বহু সড়ক, সেতু,ব্রীজ ও কালভার্ট, নির্মাণ করা হয়। স্বাস্থখাতে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় প্রায় ৬১ কোটি ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬৪২ টাকা ব্যয়ে সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও আধুনিকায়ন, বিজয়নগর উপজেলায় নতুন একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ, ১১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ,১৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক আধুনিকায়নসহ নানা উন্নয়ন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানি খাতে মোট ৫১০৭ কোটি ৫১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন,২টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, দাতিয়ারা ও ঘাটুরায় ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন,৮৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ,গ্যাসফিল্ডের কূপ খননসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
ইশতেহার পাঠে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে মোট ৮৫৬ কোটি ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,১০তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ, তিতাস নদী পুনঃখনন, পুলিশ ফাঁড়ি ভবন,এনএসআই ভবন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর হেড কোয়ার্টার ভবন,৬তলা বিশিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ভবন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল, জেলা পুলিশ লাইন মহিলা ব্যারাক ভবন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ভবন নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ও ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।
কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উন্নয়ন খাতে মোট ৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষ ২০ হাজার,৮৭৮ টাকা ব্যয়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্র, উন্নতমানের বীজ ও সার বিতরণ, কৃষক প্রশিক্ষণ,লাইভস্টক ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ৫৬০ কোটি ৫৮ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৯ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি (বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, অনগ্রসর, হিজড়া,বেদে, মাতৃত্বকালীন,এতিম ও অন্যান্য ভাতা) ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৭৬৪টি ঘর প্রদান,আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণ, গৃহনির্মাণ ঋণ ও উপকরণ বিতরণ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্মীয় উন্নয়নমূলক খাতে ৯৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় ৩ টি মডেল মসজিদ, বিজয়নগরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দির,শশ্মান, কবরস্থান নির্মাণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সভা-সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরি সংস্কার ও আধুনিকায়ন, অস্বচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের প্রণোদনা,গুণীশিল্পী সম্মাননাসহ সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে ইশতেহারে আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে “স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া” হিসেবে গড়ে তুলতে যে সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সেগুলো হলো –
পরিকল্পিত নগরায়ন ও দৃষ্টিনন্দন ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পরিচ্ছন্ন, সুন্দর এবং যানজটমুক্ত শহর গড়ে তুলতে আগামীতে মেড্ডা তিতাসপাড়া হইতে ভাদুঘর হয়ে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত তিতাস নদীর পশ্চিম পাড়ে শহরের পূর্বপ্রান্ত দিয়ে নান্দনিক সংযোগ সড়ক নির্মাণ। মেড্ডা শশ্মানঘাট বরাবর তিতাস নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ, পরিকল্পিত শহর সম্প্রসারণ করে জনসেবার মানোন্নয়ন এবং তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে একটি আধুনিক উপশহর স্থাপন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পৌর ভবন আধুনিকায়ন ও পুরাতন জেলখানার জায়গায় অত্যাধুনিক শেখ রাসেল শিশু পার্ক স্থাপন। শহরের প্রাণ এন্ডারসন খালের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ এবং টাউন খালের দুইপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ। শহরে আধুনিক বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন। একটি আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ। ড্রেইন সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পৌর এলাকার সকল জলধারা সংরক্ষণ এবং দৃষ্টিনন্দন করা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। স্মার্ট পৌরসভা গড়তে ইনোভেশন প্রক্রিয়ায় বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
আইনশৃঙ্খলা ও সুশাসন: নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রেখে সীমান্ত নজরদারি বৃদ্ধিসহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। নারীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকল্পে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ভূমিদস্যুতা,টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই,চুরি-ডাকাতি, ইভটিজিং,ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন: শিক্ষিত ও দক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। চিকিৎসা শিক্ষা প্রসারে জেলায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা। কৃষি শিক্ষা প্রসারে একটি সরকারি কৃষি কলেজ স্থাপন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস ও যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা। বিজয়নগরে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপন। বিজয়নগরে একটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং একটি সরকারি কলেজ স্থাপন। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি আইটি পার্ক স্থাপন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ: স্বাস্থ্যকর ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সিটিস্ক্যান,এমআরআই সহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি অর্থোপেডিক্স ও ট্রমা হাসপাতাল এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি কিডনি হাসপাতাল স্থাপন। হৃদরোগ চিকিৎসায় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আন্তঃবিভাগ স্থাপন। বক্ষব্যাধি/যক্ষা হাসপাতালের আধুনিকায়ন। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিকরণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অত্যাধুনিক মাতৃসদন স্থাপন। সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন: গতিশীল ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিনির্মাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন এবং ট্রেন ও ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ। ভাদুঘর পৌর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এর আধুনিকায়ন এবং একটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ করা। বাস-ট্রাক, সিএনজি-ইজিবাইক ও রিকশার জন্য আলাদাভাবে আধুনিক স্ট্যান্ড স্থাপন। গ্রামীণ জনপদে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ , সম্প্রসারণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ।
কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন: খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলতে কৃষকদের স্মার্ট কৃষি কার্ড, কৃষি অ্যাপস তথা ই-কৃষির মাধ্যমে কৃষি সেবা সহজীকরণ। কৃষি ভর্তুকি ও কৃষি প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে শতভাগ ফসলি জমিতে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও জৈব কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ডেইরী ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, বেকারত্ব হ্রাস এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি। পরিত্যাক্ত জলাশয়,হাওড় ইত্যাদি সংস্কার করে মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফলবাগান সৃজনের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
বিদ্যুৎ খনিজ, জ্বালানি ও শিল্পায়ন: ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। তিতাস গ্যাসের প্রাপ্ত আয়ের ২% ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে। নন্দনপুর বিসিক শিল্প নগরীকে একটি পূর্ণাঙ্গ “শিল্প পার্কে” রূপান্তর করা হবে। মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায় কৃষিনির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করা হবে।
দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়ন: দারিদ্রমুক্ত কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষা জোরদার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে দারিদ্রের হার ৮.৭% থেকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হবে শীর্ষ ধনী জেলার অন্যতম। গ্রাম হবে শহর এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি করে প্রতিটি ইউনিয়নকে পরিকল্পিত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ: স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে তুলতে প্রবাসীদের জন্য একটি হাউজিং এস্টেট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রবাসী কর্তৃক প্রেরিত রেমিট্যান্স উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি ও প্রবাসী পরিবার পরিজনদের কল্যাণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
খেলাধুলা, সংস্কৃতি,মুক্তিযুদ্ধ ও পর্যটন: খেলাধুলায় চৌকস ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলতে সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। গ্রামীণ পর্যায়ে খেলাধুলাকে উৎসাহিত করতে নিয়মিত শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করতে উৎসবের আয়োজন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করতে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ, শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন, একটি বহুমুখী ক্রীড়া একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
ধর্মীয় সহনশীলতা: সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অক্ষুন্ন রাখতে ধর্মীয় কুসংস্কার, অজ্ঞতা ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সকল ধর্মের সহাবস্থান এবং পারস্পরিক সম্প্রীতিকে সুদৃঢ়করণ করা হবে। পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য হাউজিং প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply